নিজস্ব প্রতিবেদক, ডেইলি জেলা পোস্ট
কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার অনেক ঘরে গলা সমান পানি ওঠেছে, এরপরও বাড়ছে পানি। ঠিকতে না পেরে স্ত্রী ও ছোট ছেলে মেয়েদের কে নিয়ে এক প্রতিবেশীরদের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়নের সাররং গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার মিয়া বলেছেন, গতকাল বিকেল থেকেই তাদের ঘরে পানি আসতে শুরু করে। ওই দিন রাতে ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠে যায়, এরপরও ঘরে থাকছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার সারা দিন তাদের এভাবেই চলে। কিন্তু রাতে এক ধাক্কায় পানি বেড়ে গলসমান হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে তাই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হন।
উজানের এই ঢল সবচেয়ে বেশি এসেছে বৃহস্পতিবার রাতে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) তথ্যমতে, সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে এক দিনে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ১২২ বছরের মধ্যে এক দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।শিশুদের নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলেছেন একাদিক অভিভাবক।
আকস্মিক এই ঢলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি বর্ণনায় ৬৮ বছরের আসন আলী দৈনিক জেলা পোস্টকে বলেছেন, জীবনে কখনোই এত দ্রুততার সঙ্গে পানি বাড়তে দেখেননি তিনি।শুক্রবার তাড়াইলে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মোটামুটি একই চিত্র দেখা গেছে। মানুষেরা জানিয়েছেন, পানি শুধু বাড়ছেই। তাই ঘরে কেউই নিরাপদ বোধ করছেন না। এ অবস্থায় অনেকে হন্যে হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। অনেকে নৌকার অভাবে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে ঘরে মাচার উপর কোনো রকমে আছেন। কেউ কেউ দিনের বেলা ঘরের আশ্রয় নিয়েছেন। পরে অবশ্য নৌকাযোগে তারা চাল ছেড়ে বিভিন্ন উঁচু এলাকায় ঠাই নিয়েছেন ।
Leave a Reply