কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার ১নংতালজাঙ্গা ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমান ভূইয়ার বাড়ীর সামনের কাঁচা রাস্তা থেকে , এবং পাকা সড়ক থেকে ৩৪০ মিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজা বাবু এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে কাজ নেওয়া হয় ঠিকাদার মোঃ বাবু মিয়া। এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের নাম্বারবিহীন ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেন। এলজিইডির ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রকল্পে কার্পেটিং কাজের অনুকূলে ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় লোকজন কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে এখনও অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দিয়েই ওই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার মোঃ বাবু মিয়া।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ঘেষে রয়েছে পুকুর ,পুকুরে প্যালাসাইটিং না করে সড়কের কাজ শুরু করে দেয় যার ফলে রাস্তা শুরুর আগেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। কাজে ব্যাপক অনিয়ম- করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে ভিটবালু দিয়ে তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ রাবিশ। এ বিষয়ে স্থানীয় লিটন ভইয়া বলেন, বাবু ঠিাকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোনো তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজা বাবু এন্টারপ্রাইজের কাছে এ রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের মান এলজিইডি তদারকি করে বিল দেবেন। এলজিইডির তাড়াইল উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মাদ শফিউল্লাহ খন্দকার , বলেন উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে বিলের প্রশ্নই আসেনা, অনিয়ম হয়েছে আমরা এই বিষয়ের ঠিকাদার প্রতিষ্টান সহ জেলা প্রকৌশলী বরাবর চিঠি প্রেরণ করেছি ।এবং ভাল কজ না হলে ঠিকাদারে বিল পাবেনা।
Leave a Reply