আবুতাহের মরাজ, তাড়াইল কিশোরগন্জ প্রতিনিধি
কিশোরগন্জের তাড়াইল উপজেলার বেশির ভাগ মৎস্য খামার এখন পানির নিচেে।বন্যার পানিতে ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ। উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের আজমপুরে সাজিদ সৃজন এন্ড জারা মৎস্য খামার এখন সম্পূর্ণ পানির নিচে, সাজিদ সৃজন এন্ড জারা মৎস্য খামারের মালিক জিয়াউর রহমানের জিয়া ছয় একর (ষাট কাটা) জমি নিয়ে দুইটি মৎস্য খামার যাহাতে প্রতি বছর দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের চাষ করা হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ বিভিন্ন প্রজাতির দেশিয় মাছের চাষ করেন, তিনি বলেন এবছর মাছের চাষ করতে এই পর্যন্ত আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে, অনেক আশা নিয়ে ব্যাংক ঋণ ও ধারদেনা করে টাকা খরচ করেছি, যদি সুষ্ঠুভাবে মাছ গুলো বিক্রি করতে পারতাম তাহলে কমপক্ষে পঁচিশ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারতাম। আর কিছুদিন পরেই মাছ বিক্রি শুরু করতাম কিন্তুু তা আর হলনা, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে হঠাৎ বন্যায় আমার মৎস্য খামার একেবারে পানির নিচে তলিয়ে যায় ও খামারের সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমার আসা, আকাঙ্ক্ষা, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এই খামার , আমার সমস্ত মাছ বানের পানিতে ভেসে গিয়াছে, এখন আমি কি করব, কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা।ধার দেনা করে বহু আশা নিয়ে মাছের চাষ করেছিলাম ,বন্যার কারণে আমি এখন স্বর্বস্ব হারাতে বসেছি, আমার আশা, আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন সব কিছুই ভেসে গেল বন্যার পানিতে। তার পরে মরার উপর খড়ার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়ে আছে ব্যাংক ঋণ ও ধারদেনা করে আনা টাকা, কি করে যে আমি ঋণ পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছিনা, এমতাবস্থায় সরকার যদি আমার দিকে সাহায্যের হাত নাবাড়ায় তাহলে পথেবসা ছাড়া আমার আর কোন রাস্তা নাই।
এছাড়াও তাড়াইল উপজেলার বেশির ভাগ মৎস্য খামারের সমস্ত মাছ বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, এব্যাপারে মুটোফোনে তাড়াইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিত পন্ডিতের সাথে কথা হলে তিনি এ পর্যন্ত ২৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত খামারির তালিকা করা হয়েছে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহন করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
Leave a Reply