অজয় বর্মন লিটন ,ডেইলি জেলা পোস্ট
সুদের টাকা দিতে না পারায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পরিবারটির বসতঘর রাতে খুলে নিয়ে গেছে পাওনাদার ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা ।
কিশোরগঞ্জ তাড়াইল সাচাইল সদর উপজেলা সাররং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে , একলাছ মিয়ার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন এক বছর আগে তাড়াইল উপজেলার সাররং গ্রামের এনাতুল মিয়া ( ৩৮) পিতাঃ রুকু মিয়া, যা সুদে আসলে ১৫ হাজার টাকা হয়। সময় মত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এ ঘটনা ঘটে ।
পরিবারের ১১ সদস্যের মধ্যে পাঁচজনই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, পরিবার নিয়ে ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তার দু চালা টিনের ঘরটি ভেংগে নিয়ে যাওয়ার খবর এলাকার প্রতিবেশী মানুষ ফোন করে জানানোর পরে ঢাকা থেকে এসে দেখেন তার বসত ঘরটি পাওনাদার ব্যক্তি খুলে নিয়ে গেছে । ঢাকা থেকে এসে দেখেন একমাত্র থাকার বসত ঘরটি মাথা গোঁজার ঠাঁই, এ ঘরটি একই এলাকার পাওনাদার ব্যক্তির কব্জায় নিয়ে যায় ঘরটি।
ভুক্তভোগী এনাতুল মিয়ার দু চালা টিনের ঘর নিয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এনাতুল মিয়া সহ আরো ৪ জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বাকি সদস্যরা । সিনেমার মতো মনে হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়নের সাররং গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অতিদরিদ্র এই পরিবারটি।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার সামনের ফাঁকা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে পরিবারের ১১ সদস্য নিয়ে চটলা টা নিয়ে মাটিতে বসে আছেন এনাতুল মিয়ার পরিবারটি। খেতে না পেয়ে শিশুরা কান্নাকাটি করছে, পাশেই পাওনাদার টহল দিচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, চড়া সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় , বসত দু চালা ঘরটি ভেঙে নিয়ে যায় ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এনাতুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পাওনাদার একলাস মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি ।এ বিষয়ে তাড়াইল সাচাইল ইউপি সদস্য পারুল মিয়া জানান, ঘটনাটি সত্য, পাওনাদার ব্যক্তি তার ঘরটি খুলে নিয়ে গেছে এবং পরিবার টি এলাকা ছাড়ার হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছে ।
এই বিষয়ে তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনা শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply