নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি জেলা পোস্ট
কিশোরগঞ্জ তাড়াইল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রীদের যেন রুটিন মাফিক ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ,তাড়াইল সরকারি পাইলট স্কুলটির প্রবেশ গেট রয়েছে একটি।
স্কুল ঘেঁষে রয়েছে তাড়াইল থানার প্রাচীর, স্কুল চলা সময়কালীন রাস্তার পাশে অছাত্রদের মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা হয় ছাত্রীদের আসা-যাওয়ায় বিঘ্ন ঘটে , আদার্স কিছু অছাত্র বকাটে ছাত্রীদের ইভটিজিং করার উদ্দেশ্যে ঘাপটি মেরে মোটর সাইকেলে বসে থাকে গেটের চিপায় চাপায় লুকিয়ে থাকে অমানুষিক উদ্দেশ্য নিয়ে ।
একাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের গার্জেন প্রতিবেদককে বলেন এলাকার কয়েকটি স্থানীয় ছেলেপেলেরা মেয়েদেরকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা ।
এই বিষয়ে তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক ,সহকারী শিক্ষকগন দুঃখ প্রকাশ করে একই কথা বলেন এছাড়া যেন তাদের আর কিছুই করার নেই ,তারা বলেন এই ছেলেগুলোর জন্য স্কুলে প্রবেশ করায়ই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে, তাড়াইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, একাধিক গার্জেন আমাকে বিষয়টি অবগত করেছে আমি বলব শৃঙ্খলা বাহিনীর, স্কুল চলাকালীন সময়ে নজর দেয়া জরুরী, এবং একজন সিকিউরিটি গার্ড
বিশেষ প্রয়োজন। আমি উপজেলা ইউনো মহোদয় কে বলবো উনি স্কুলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এই বিষয়টি দেখবেন ।
তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্জেন দের একাধিক দাবি এখানে স্কুল চলাকালীন সময়ে একজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অথবা সিকিউরিটি কার্ড প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান যেন ইভটিজিং মতো অমানুষিক আক্রমণ থেকে কোমলমতি শিশুরা রক্ষা পেতে পারে নয়তো ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ।
এই বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা শারমিন জানান ,এই বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিংয়ে আমি উত্থাপন করেছি , আশা করছি শীঘ্রই একজন সিকিউরিটি গার্ড প্রদান করা হবে ।এবং সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। এরকম বারবার ঘটলে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট করে ইভটিজিং কারীদের বখাটেদের শাস্তি প্রদান করা হবে।
Leave a Reply